আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে ক্রিপ্টো কারেন্সি ক্রাশ ইভেন্ট নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

[Source](https://unsplash.com/es/fotos/una-imagen-3d-de-la-letra-e-y-un-diamante-l_YTuTeON38)
এটি ক্রিপ্টো বিশ্বের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন মুহূর্ত সবচেয়ে বড় লিকুইডেশন ইভেন্ট, যা ২০২০ সালের মার্চ মাসের কোভিড ক্র্যাশের তুলনায় প্রায় ২০ গুণ বড়। এমন বিশাল মাপের পতন ক্রিপ্টো মার্কেটের অস্থিরতা এবং তার ভেতরের জটিল গতিশীলতাকে আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। যেখানে এক সময় কোভিডের ধাক্কায় বিশ্ব অর্থনীতি কেঁপে উঠেছিল, সেখানে আজকের এই লিকুইডেশন তার থেকেও বহুগুণ বেশি শক্তিশালী প্রভাব ফেলেছে ডিজিটাল অ্যাসেট মার্কেটে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে যখন কোভিড মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন ক্রিপ্টো মার্কেটে প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলারের লিকুইডেশন হয়েছিল। সেই ধসকে একসময় ক্রিপ্টো ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দিন হিসেবে দেখা হতো। পরে আসে এফটিএক্স ক্র্যাশ একটি কেন্দ্রীভূত এক্সচেঞ্জের পতন, যা ১.৬ বিলিয়ন ডলারের লিকুইডেশন ঘটিয়ে পুরো বাজারকে নাড়িয়ে দেয়। বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, এবং বাজারে এক ধরনের অবিশ্বাস তৈরি হয়।
কিন্তু আজকের দিনটি সেই সব ঘটনার চেয়েও ভয়ঙ্কর। ১৯.১৬ বিলিয়ন ডলারের লিকুইডেশন ক্রিপ্টো দুনিয়ায় এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। হাজার হাজার ট্রেডার তাদের সম্পদ হারিয়েছে, বড় বড় পজিশন ভেঙে পড়েছে, এবং বাজারে সৃষ্টি হয়েছে এক প্রচণ্ড আতঙ্ক। বিটকয়েন, ইথেরিয়ামসহ প্রধান কয়েনগুলোর দাম এক মুহূর্তে নিচে নেমে গেছে, যার প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে পুরো অল্টকয়েন মার্কেটেও।
এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে এটাই কি বাজারের বড় পুনর্জাগরণের আগের ঝড়, নাকি আরও গভীর সংকটের শুরু? ইতিহাস বলে, প্রতিটি বড় পতনের পরই নতুন সুযোগ আসে। কোভিড ক্র্যাশের পর যেমন ক্রিপ্টো মার্কেট এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল, তেমনই আজকের পতনের মধ্যেও হয়তো লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের বড় উত্থানের ইঙ্গিত।
তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো ক্রিপ্টো মার্কেট কখনোই পূর্বানুমেয় নয়। এখানে ধৈর্য, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গিই পারে একজন বিনিয়োগকারীকে দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখতে। আজকের এই লিকুইডেশন শুধু সংখ্যার খেলা নয়, এটি স্মরণ করিয়ে দেয় যে প্রযুক্তি যত উন্নতই হোক না কেন, মানুষের মানসিকতা এবং বাজারের আবেগই শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করে অর্থনৈতিক বাস্তবতা।
ক্রিপ্টো জগৎ আবারও প্রমাণ করল এটি যেমন লাভের ক্ষেত্র, তেমনি ঝুঁকির সমুদ্রও। এই বিশাল লিকুইডেশনের পর বাজারে যে পরিবর্তন আসছে, তা ভবিষ্যতের বিনিয়োগকারীদের জন্য এক নতুন বাস্তবতা তৈরি করবে যেখানে কেবল শক্ত মানসিকতা ও সচেতন কৌশলই টিকে থাকার পথ দেখাবে।
|
ক্যামেরা পরিচিতি|
|---|
|Device|iPhone 11|
|----|----|
|Camera|11+11 MP|
|County|Bangladesh|
|Location|Rangpur, Bangladesh|

[Vote](https://steemitwallet.com/~witnesses)@bangla.witness as witness

|
Or|
|---|
[Set](https://steemitwallet.com/~witnesses)@rme as your proxy

|
আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি|
|---|

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।